আশা বাঁচিয়ে রাখল ঢাকা
দুঃসাহস কাল হলো ইমরান নাজিরের। পেস বোলিংও খেলছিলেন হেলমেট না পরে, ট্রেগোর বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে বল লাগল মাথায়! তবে ভাগ্য ভালো, গুরুতর কিছু হয়নি
প্রথম আলো
আগের রাতে সিলেট রয়্যালসের সংবাদ সম্মেলনে কোচ স্টুয়ার্ট ল একটা সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন। যার সারমর্ম, সিলেট রয়্যালস যদি বাকি সব ম্যাচ জেতে আর অন্য দলগুলো হারতে থাকে, সেমিফাইনালে যাওয়ার একটা আলো জ্বলে উঠবে তাদের সামনে।
বিপিএলের বাকি অংশে ছক মেনে এভাবেই হবে, ল নিজেও এমনটা বিশ্বাস করতেন কি না সন্দেহ। করলেও তাঁর দল কাল সেই বিশ্বাসে পেরেক ঠুকে দিল। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কাছে ১২.৫ ওভারেই ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরে ল-র দেখানো অসম্ভব সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটাল দলটা। অন্যদিকে সহজ এই জয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ধরে ফেলল চিটাগং কিংসকে। ৭ ম্যাচে দুই দলেরই চারটি করে জয়, পয়েন্ট ৮।
অলক কাপালিসহ দলের চার-পাঁচ ক্রিকেটারই নাকি ভাইরাস জ্বরের সঙ্গে লড়ছেন। ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে কাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাই আগের চেয়েও দুর্বল দল নামাল সিলেট রয়্যালস। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বোলিংয়ের সামনে এই দলটা করতে পারল ১২৮ রান। ৫৩ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর পিটার ট্রেগো-নাঈম ইসলামের ৪১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিও পারেনি বড় স্কোর দিতে।
বরং যে রানটা দিল, তার অর্ধেকের বেশি ঢাকা পেরিয়ে গেছে দুই ওপেনার ইমরান নাজির ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৭৩ রানের জুটিতেই। ট্রেগোর বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে ইমরান নাজির মাঠ না ছাড়লে, ম্যাচ তারাই শেষ করে দিতেন কি না কে জানে। ৩৩ বলে ৪০ রান করে আশরাফুল আউট হওয়ার পর আজহার মেহমুদ ও কাইরন পোলার্ডের ঝোড়ো ব্যাটিং দ্রুত ম্যাচটাকে নিয়ে গেছে শেষ দৃশ্যের দিকে। তিন ছক্কায় মাত্র ৬ বলে অপরাজিত ২২ রান পোলার্ডের। ১৫ বলে ২৯ করেছেন আজহার।
সেমিফাইনালের স্বপ্নে নতুন রং চড়ানোর ম্যাচে ঢাকার জন্য বড় হতাশার খবর হতে পারত ইমরান নাজিরের মাথায় পাওয়া আঘাত। তবে ম্যাচ শেষে দলের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দিন খান জানালেন, স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অবস্থা গুরুতর মনে হয়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য চট্টগ্রামে এক রাত বেশিও থাকতে হতে পারে পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারকে।
তার আগে আজ সেমিফাইনালের পুনর্জীবিত স্বপ্ন নিয়েই ঢাকা ফিরছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। কাল ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও মনে হলো অনেকটা নিশ্চিন্ত, ‘আমরা এমন একটা অবস্থায় ছিলাম, এই ম্যাচে হারলে অনেক দূরে সরে যেতাম। ম্যাচটা জিতে আমাদের খুবই ভালো হয়েছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জিততেই হতো।’
পরশু সংবাদ সম্মেলন করে বিপিএলে ব্যর্থতার জন্য সিলেটবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সিলেট রয়্যালসের মালিকপক্ষ। কাল ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও চলে এলেন ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। বললেন, ‘প্রথম দুই তিন ম্যাচে হারার পরই আমাদের দলটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সে অবস্থা থেকে আমরা আর বের হতে পারিনি। এ ছাড়া টিম কম্বিনেশনেও সমস্যা থাকতে পারে।’ পাশেই বসা নাঈম ইসলাম অবশ্য দায় চাপালেন বিদেশিদের ঘাড়ে, ‘আমাদের দলে এমন কোনো ভালো বিদেশি ক্রিকেটার ছিল না যারা সাপোর্ট দিতে পারে। অন্য দলে বিদেশিরা ৬০-৭০ ভাগ সার্ভিস দিয়েছে। আমাদের দলে এক কামরান ভাই (কামরান আকমল) ছাড়া আর কোনো বিদেশি সেটা পারেনি।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট রয়্যালস: ২০ ওভারে ১২৮/৭ (ট্রেগো ৩৫, নাঈম ২৮, ইমরুল ১৪, নূর হোসেন ১৩*; রানা নাভিদ ৩/১৮, আজহার ২/২২, ইলিয়াস ১/২২, মাশরাফি ১/২৪)। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস: ১২.৫ ওভারে ১৩২/২ (আশরাফুল ৪০, ইমরান ৩১ আহত অবসর, আজহার ২৯, পোলার্ড ২২*; নূর হোসেন ১/২১, নাবিল ১/২৯)।
ফল: ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আজহার মেহমুদ।
বিপিএলের বাকি অংশে ছক মেনে এভাবেই হবে, ল নিজেও এমনটা বিশ্বাস করতেন কি না সন্দেহ। করলেও তাঁর দল কাল সেই বিশ্বাসে পেরেক ঠুকে দিল। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কাছে ১২.৫ ওভারেই ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরে ল-র দেখানো অসম্ভব সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটাল দলটা। অন্যদিকে সহজ এই জয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ধরে ফেলল চিটাগং কিংসকে। ৭ ম্যাচে দুই দলেরই চারটি করে জয়, পয়েন্ট ৮।
অলক কাপালিসহ দলের চার-পাঁচ ক্রিকেটারই নাকি ভাইরাস জ্বরের সঙ্গে লড়ছেন। ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে কাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাই আগের চেয়েও দুর্বল দল নামাল সিলেট রয়্যালস। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের বোলিংয়ের সামনে এই দলটা করতে পারল ১২৮ রান। ৫৩ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর পিটার ট্রেগো-নাঈম ইসলামের ৪১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিও পারেনি বড় স্কোর দিতে।
বরং যে রানটা দিল, তার অর্ধেকের বেশি ঢাকা পেরিয়ে গেছে দুই ওপেনার ইমরান নাজির ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৭৩ রানের জুটিতেই। ট্রেগোর বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে ইমরান নাজির মাঠ না ছাড়লে, ম্যাচ তারাই শেষ করে দিতেন কি না কে জানে। ৩৩ বলে ৪০ রান করে আশরাফুল আউট হওয়ার পর আজহার মেহমুদ ও কাইরন পোলার্ডের ঝোড়ো ব্যাটিং দ্রুত ম্যাচটাকে নিয়ে গেছে শেষ দৃশ্যের দিকে। তিন ছক্কায় মাত্র ৬ বলে অপরাজিত ২২ রান পোলার্ডের। ১৫ বলে ২৯ করেছেন আজহার।
সেমিফাইনালের স্বপ্নে নতুন রং চড়ানোর ম্যাচে ঢাকার জন্য বড় হতাশার খবর হতে পারত ইমরান নাজিরের মাথায় পাওয়া আঘাত। তবে ম্যাচ শেষে দলের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজউদ্দিন খান জানালেন, স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অবস্থা গুরুতর মনে হয়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য চট্টগ্রামে এক রাত বেশিও থাকতে হতে পারে পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারকে।
তার আগে আজ সেমিফাইনালের পুনর্জীবিত স্বপ্ন নিয়েই ঢাকা ফিরছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। কাল ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও মনে হলো অনেকটা নিশ্চিন্ত, ‘আমরা এমন একটা অবস্থায় ছিলাম, এই ম্যাচে হারলে অনেক দূরে সরে যেতাম। ম্যাচটা জিতে আমাদের খুবই ভালো হয়েছে। সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জিততেই হতো।’
পরশু সংবাদ সম্মেলন করে বিপিএলে ব্যর্থতার জন্য সিলেটবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সিলেট রয়্যালসের মালিকপক্ষ। কাল ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও চলে এলেন ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। বললেন, ‘প্রথম দুই তিন ম্যাচে হারার পরই আমাদের দলটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সে অবস্থা থেকে আমরা আর বের হতে পারিনি। এ ছাড়া টিম কম্বিনেশনেও সমস্যা থাকতে পারে।’ পাশেই বসা নাঈম ইসলাম অবশ্য দায় চাপালেন বিদেশিদের ঘাড়ে, ‘আমাদের দলে এমন কোনো ভালো বিদেশি ক্রিকেটার ছিল না যারা সাপোর্ট দিতে পারে। অন্য দলে বিদেশিরা ৬০-৭০ ভাগ সার্ভিস দিয়েছে। আমাদের দলে এক কামরান ভাই (কামরান আকমল) ছাড়া আর কোনো বিদেশি সেটা পারেনি।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট রয়্যালস: ২০ ওভারে ১২৮/৭ (ট্রেগো ৩৫, নাঈম ২৮, ইমরুল ১৪, নূর হোসেন ১৩*; রানা নাভিদ ৩/১৮, আজহার ২/২২, ইলিয়াস ১/২২, মাশরাফি ১/২৪)। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস: ১২.৫ ওভারে ১৩২/২ (আশরাফুল ৪০, ইমরান ৩১ আহত অবসর, আজহার ২৯, পোলার্ড ২২*; নূর হোসেন ১/২১, নাবিল ১/২৯)।
ফল: ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আজহার মেহমুদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন